গুলি করে খুন ! দেহ সৎকারের চেষ্টা পরিবারের : তদন্তে পুলিশ

3rd November 2020 2:47 pm হুগলী
গুলি করে খুন ! দেহ সৎকারের চেষ্টা পরিবারের : তদন্তে পুলিশ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  চন্ডীতলায় গুলি করে যুবক খুন !  পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ দাহ করে দেওয়ার চেষ্টা।খবর পেয়ে দেহ আটক করে পুলিশ।মঙ্গলবার মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায় চন্ডীতলা থানার পুলিশ।পরিবারের অভিযোগ গতকাল বিকাল পাঁচটা নাগাদ চন্ডীতলার কানাইডাঙায় ভক্তিভূষণ বাগ(৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়।অভিযোগ বাড়ির কাছেই কেউ তাকে মাথায় গুলি করে।পরিবারের লোকজন আহত যুবককে ডানকুনির একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে নিয়ে যায়।ততক্ষনে মৃত্যু হয়েছে যুবকের।পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে দাহ করার চেস্টা করে যুবকের পরিবার।রাতে খবর পেয়ে চন্ডীতলা থানার পুলিশ মৃতদেহ আটক করে।মৃত যুবকের বাবা পুলিশকে জানায় মাথায় শাবলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ছেলের।যদিও পুলিশ মৃতের মাথায় গুলির লাগার চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয় গুলি করেই খুন করা হয়েছে ভক্তিভূষণকে।কিন্তু কেন তাকে গুলি করে খুন করা হয়? তার পরিবারই বা কেন এই ঘটনা চেপে যেতে চাইল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া ও লোন করে দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তোলার অভিযোগ ছিলো।বাড়িতে ফটো সপের কাজ করলেও নিজেকে WBCS অফিসার পরিচয় দিয়ে এসব করত সে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।